কলমে: সাম্য শফিক
রেমাল এসেছে,
আসছে বৃষ্টি ঝড়।
বুঝিতে পেরেছি অতঃপর।
চারিদিকে তাই রণসাজ।
সাগর পাড় উত্তাল আজ।
সেচ্ছাসেবী দের বেদম কাজ।
আমরা-ও এসেছি।
কি বিচিত্র প্রকৃতি!
কি বিচিত্র প্রজন্ম –
আমরা সেলুকাস জাতি।
ভীতু মাঝিরা টানছে দাঁড়।
ফিরতে চায় নিরাপদে বাড়ি।
আমি কিন্তু ঠাঁই, অনড়।
শাঁই শাঁই বাতাসের নিক্কণ।
তুমি-ই আমার জান-প্রাণ।
হ্যালো উর্বশী, কোথায় তুমি?
আমার কথা, শুনতে পাচ্ছো কি?
হ্যালো, হ্যালো আমাকে শুনতে পাচ্ছো তুমি?
আকাশে মেঘের ভেলা।
বাতাসে প্রচন্ড বেগ,
সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
আমরা সবাই এখন সাগর পাড়ে।
তুমি-আমি ভাসবো, আর হাসবো,
জোয়ারের জলে।
নাচবো আমরা ঘুঙুর পড়ে।
রিমঝিম বৃষ্টির তালে
নাচতে ভালো লাগে।
এ-ই, শুনছো তুমি?
খবরে শুনেছি,
৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার ঢেউ হবে।
চলে আসো এক্ষুনি
হাওয়ায় জাহাজে চড়ে।
হ্যালো শুনতে পাচ্ছো তুমি?
সমুদ্র ফুঁসে উঠছে।
গোখরা সাপের মতো ফনা তুলে, ফোঁসফোঁস করছে।
কি মজা হবে!
ছোট্র বেলায় লুঙ্গিতে বাতাস ভরে
যেমনটা জলে ভেসেছি।
পাতিহাঁসের মতো।
সেভাবেই ভাসবো আকাশে,
শুধু তুমি আর আমি।
বাজপাখি হয়ে।
উড়বো দু’জন হাতে হাত রেখে।
সবাই চলে যাচ্ছে সাইক্লোন সেন্টারে।
জনমানবহীন এ সাগর পাড়ে
হ্যালো উর্বশী, কোথায় তুমি?
শুনতে পাচ্ছো কি?
বলছি, আমরা দু’জন উড়বো ।
ফটোগ্রাফার দিয়ে ভিডিও বানাবো।
দেরি করোনা প্লিজ, তাড়াতাড়ি চলে এসো।
হ্যালো – হ্যালো – হ্যালো, শুনছো!
সে ভিডিওটা ইউটিউবে ছাড়বো।
মূহুর্তে ভাইরাল হবো।
কেমন লাগবে বলো?
হাই লক্ষ্মী’টি –
কামওয়ান বেবি।
এক্ষুনি চলে আসো।
নয়তো কালবেলার শিরোনাম হবে।