জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
টেকনাফে সুন্দরবন কুরিয়ার সর্ভিস প্রতিষ্ঠানে ইয়াবা জব্দ ও আটক নিয়ে চলছে তোলপাড়। একের পর এক ইয়াবার চালান জব্দ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আটক করলেও নেই কোন প্রতিকার। এর পরও এর আড়ালে চলছে রমরমা ইয়াবার ব্যবসা।পার্সেলের নামে যাচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবার বড় চালান।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ শাখা থেকে অভিনব কায়দায় ইয়াবার চালান নিয়ে কক্সবাজার কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে গেলে কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের একটি আভিযানিক দল টেকনাফ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস শাখার কর্মচারী সাইফুল (২০) কে বার্মিস চন্দনের প্যাকেটে অভিনব কায়দায় পেকেট করা ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে নিয়ে যায় বলে সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় টেকনাফে টক অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। টেকনাফ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ইনচার্জ দিল মোহাম্মদ বিগত ২০০০ সাল হতে এ কুরিয়ার সার্ভিসের ইনচার্জ থাকাকালীন সময়ে এ ইয়াবার রমরমা ব্যবসা করে আলী শান ৫ তলা বাড়ীসহ বিভিন্ন সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান। বিগত ১০ অক্টোবর ২০২৩ সালে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ঢাকা উত্তরায় তার আরেকটি চালান আটক হয়েছিল।
২০০২ সালে বেনাপুলে ১০ হাজার আবার চলতি সালে আরো ৫ হাজার ইয়াবা নিয়ে আরেক কর্মচারী আটক হওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এ সমস্ত ইয়াবা কারবারী কারণে সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে, সচেতন মহল জানান। তাদের মতে সে দিন দিন নিজের ইয়াবা কর্মচারীর মাধ্যমে পাচার করে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাকে উক্ত শাখা থেকে বাদ দেওয়া না হলে আরো ইয়াবার বড় বড় চালান নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে, অভিমত ব্যাক্ত করেন।