সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির হাতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক

Daily Mukti Samachar - দৈনিক মুক্তি সমাচার: অক্টোবর ২১, ২০২৪

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির হাতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক আমির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ):  

সুনামগঞ্জ জেলার জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনার সময় এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতের পাচার কালে দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশী রসুন, ভারতীয় চিনি, কয়লা ও অতিরিক্ত নিকোটি যুক্ত শেখ বিড়িসহ বিভিন্ন পণ্য আটক করেছে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সদস্যরা।

আজ ২১ শে অক্টোবর সোমবার রাত ১ টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলার লাউরগড়, দোয়ারা বাজার উপজেলার বাশতলা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চিনাউড়া ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর বিওপির বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ চোরাই পণ্য আটক করে।

সত্যতা নিশ্চিত করেন সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ কে এম জাকারি।স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তের ১২০৫ পিলার সংলগ্ন বাউল্লা হাটি এলাকা দিয়ে রাতের আধাঁরে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের রসুন পাচার করছিল সোর্স পরিচয়ে লাউড়েরগড় গ্রামের মুল্লিক মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী বাইজিদ মিয়া(৩৫)।

লাউড়েরগড় গ্রামের মৃত্যু কালা মিয়ার ছেলে বিজিবির মাদক মামলার আসামী নুরু মিয়া(৪৮) ও লাউড়েরগড় উত্তর গ্রামের মৃত্যু আব্দুর রশিদ ছেলে জজ মিয়া(৫৩)। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লাউড়েরগড় সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা অভিযান চাল্য। এ সময় বিজিবির উপস্তিতি টের পেয়ে চোরাকারবারি বাইজিদ, নুরু মিয়া ও জজ মিয়া রসুনের বস্তা ফেলে রেখে পালিয়ে গেলে ১৪ বস্তা রসুন জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা।

পরে সকল ১১ টার জব্দকৃত রসুন নিলামে বিক্রি করছে লাউড়েরগড় বিজিবি। পর দিকে রাতের একই সময়ে দোয়ারা বাজার উপজেলার বাশতলা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চিনাউড়া ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর সীমান্ত দিয়ে পাচার কালে অভিযান চালিয়ে চিনি, ভারতীয় চিনি, কয়লা ও অতিরিক্ত নিকোটি যুক্ত শেখ বিড়ি আটক করে বিজিবি সদস্যরা।

বিজিবি হাতে আটককৃত রসুন, ভারতীয় চিনি, কয়লা ও অতিরিক্ত নিকোটি যুক্ত শেখ বিড়ির সরকারি মূল্য ১,লাখ ১৩ হাজার ২৮০ টাকা


যোগাযোগ: হয়বতপুর, নাটোর।
ই-মেইল: dailymuktisamachar@gmail.com