দিনমজুর ইয়াকুব এসএসসিতে জিপিএ-৫,পাওয়ার পরে ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তায়

Daily Mukti Samachar - দৈনিক মুক্তি সমাচার: জুন ২, ২০২৪

দিনমজুর ইয়াকুব এসএসসিতে জিপিএ-৫,পাওয়ার পরে ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তায় তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি:  

বাবা মায়ের সাথে দিনমজুরের কাজ করে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ইয়াকুব আলী। ভালো রেজাল্ট অর্জন করেও পড়াশোনার খরচ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় রয়েছে ইয়াকুব। ছেলের ভবিষ্যৎ শিক্ষার খরচ কীভাবে জোগাবেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ তার মা-বাবার কপালে।

ইয়াকুব আলী নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর খাটুরিয়ার ভূমিহীন দিনমুজুর হায়দার আলীর ছেলে। ছয় ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয় ইয়াকুব। এবারে সে এসএসসি পরিক্ষায় খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।

এলাকাবাসী জানান, ছোটবেলা থেকে বাবার-মায়ের সাথে দিনমুজুরের কাজ করে পরাশোনা করেছে ইয়াকুব। নিজে থেকে অদম্য উৎসাহ নিয়ে সে পড়াশোনা করেছে। তার এমন সফলতায় এলাকাবাসী আনন্দিত, আর্থিক সহযোগীতা পেলে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করেন তারা।

খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম জাকারিয়া বলেন, অনেকের আর্থিক সহযোগীতায় পড়াশোনার খরচ চালিয়ে এসেছেন ইয়াকুব। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান এই শিক্ষক।

ইয়াকুবের বাবা হায়দার আলী বলেন, নিজস্ব বসত ভিটে না থাকা সত্ত্বেও কষ্ট করে ছেলে অন্যের জমিতে বাড়ি করে এ পর্যন্ত পড়িয়েছে। ছেলের পড়াশোনার চড়ম আগ্রহ থাকলেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে কলেজে পড়ানোর সামর্থ্য নেই বলে জানান ইয়াকুবের বাবা ।

এ ব্যাপারে ইয়াকুব আলী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে বাবা মায়ের সাথে দিনমুজুরের কাজ করেন ইয়াকুব। হারভাঙ্গা পরিশ্রম করার পরেও বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়েছেন, তার স্বপ্ন একজন প্রকৌশলী হওয়া। পারিবারিকভাবে একেবারে অস্বচ্ছল হওয়ায় প্রকৌশলী হবার স্বপ্নপূরণ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে ইয়াকুব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, আর্থিক সমস্যার কারনে যেনো কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা যেনো বাধাগ্রস্ত না হয়। সেজন্য উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।

ইয়াকুবের সাথে যোগাযোগ- ০১৩০৮১৮৬৬১১


যোগাযোগ: হয়বতপুর, নাটোর।
ই-মেইল: dailymuktisamachar@gmail.com