রূপসায় ২৪ টা বছর বিনা বেতনে চাকরি করছেন মানবতার  শিক্ষক মোহাসিন মিনার

Daily Mukti Samachar - দৈনিক মুক্তি সমাচার: এপ্রিল ৩০, ২০২৪

রূপসায় ২৪ টা বছর বিনা বেতনে চাকরি করছেন মানবতার  শিক্ষক মোহাসিন মিনার মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:  

খুলনার ঘাটভোগ ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক দরিদ্র শিক্ষক চাকরি করে ও একটি নয় দু,টি নয় পুরো ২৪ টি বছর বিনা বেতনে মানবতার জীবন জাপন করছে।

স্কুলটি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৩ টি বছর ধরে ও বর্তমান ২২০ জন ছাত্র ছাত্রী এবং ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে সুনামের সহিত শিক্ষা ব্যবস্থা করে আসলেও পুরো ২৪ টা বছর ধরে একটি টাকা বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক মোহাসিন মিনা।

চাকরি করেও পরিবার, স্ত্রী, সন্তান নিয়ে করছেন মানবতার জীবন। শুনতে রূপকথার মত মনে হলেও আসলে এটা সত্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার রূপসা উপজেলার ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা মিনা পাড়া গ্রামের মৃত ইউনুস মিনার ছেলে মোহাসিন মিনা। অত্যন্ত মেধাবী এই ছেলেটি দরিদ্র বাবার স্বপ্ন পুরনের জন্য অন্যের বাড়িতে লজিং থেকে পড়া শোনা করে অনেক কষ্টে অনার্স পাস করে চোখে-মুখে রঙিন স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলেন দরিদ্র বাবা-মার কষ্ট দূর করবেন।

বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকুরির অনেক সুযোগ আসা সত্ত্বেও তিনি যোগদান করেননি কোথাও কারণ তিনি এ গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।

১৯৯২ সালে বামনডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অবৈতনিক ভাবে বরাবর সবাই কাজে যোগ দিয়ে শিক্ষা দিয়ে আসছেন। গত ১৯৯৭ ইং সালে স্কুলটি গেজেটভুক্ত(জাতীয় করণ) করা হয় এবং সকল শিক্ষক কর্মচারীকে পর্যায়ে ক্রমে বিভিন্ন সময়ে গেজেটভুক্ত করে নিলেও শিক্ষক মোহাসিন মিনা এখনো পর্যন্ত গেজেটভুক্ত হয়নি।

ফলে সকল শিক্ষক বেতন পেলেও আজও তিনি পাননি কোন বেতন কাঠামো।এটা রাজনৈতিক নাকি প্রতি হিংসা এনিয়ে এখন ও কিছু বলা যাচ্চে না।এ যেন সবাই যার যার মতে কেউ কারোর কোন কিছু দেখার সময় নেই। একজন দোষ দিচ্ছেন আরেক জনের উপর। আর আদৌও সে কি তার চাকরি জীবনে বেতন পাবে কিনা এটা নিয়ে পুরো পরিবার টি যেন চোখে মুখে অন্ধকার।

এ বিষয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মধুসূদন দত্তকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সাবজেক্ট জটিলতার কারণে তার বেতন টি এখনও পর্যন্ত চালু হয়নি। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় আবেদন করা আছে কবে এটা অনুমোদন দিবে সে এ বিষয় সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না।

এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন,আমি বিষয়টা আগেও শুনেছি তাই আমি প্রধান শিক্ষক কে ফোনে সব বলেছি সে যেন দ্রুত সময়ে এটার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।

সেই সাথে আমাদের ও একটাই চাওয়া এই সাবজেক্ট জটিলতা আর না দেখিয়ে অসহায় পরিবার টির পাশে এসে দাড়ানোর জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।


যোগাযোগ: হয়বতপুর, নাটোর।
ই-মেইল: dailymuktisamachar@gmail.com