সাম্য শফিক
তোমার আসবার কথা কখন?
এখন এলে!
পাক্কা দু-ঘন্টা দেরিতে।
ভিক্ষুক হয়ে বসে আছি, সেই কতক্ষণ।
একেকটা প্রহর যেনো একেকটা যুগ,
মাথার উপর খাঁ খাঁ রোদ্দুর।
চিমসে গরমের তপ্ত দুপুর।
তোমার কি বেরুনোর, হয়নি সুযোগ?
এই তো এলাম, বাড়িতে অবিনাশী প্রশ্ন।
কোথায় যাচ্ছি, কোথায় যাবো?
কখন বাড়ি ফিরবো?
গন্ডায় গন্ডায় মিথ্যের মুখে মাখছি পাউডার স্নো।
নিতে হয় কতো ছলচাতুরী।
এমন বিমূর্ত হয়ে বসে আছো!
যেনো কালিজিরা মেঘে ঘনকালো !
কি হলো, কিছু বলো শুনি।
সবুজ শাড়ীতে দারুণ সেজেছো।
চোখে মাসকারা, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক,
মোহনীয় সৌন্দর্যে আপাদমস্তক।
ঠিক যেনো মেরিলিন মনরো।
ইচ্ছে করে, মাথার চুলে আঙ্গুল বুলোতে।
শাড়ীর আঁচল সরিয়ে করো সংসর্গ।
তোমার ক্লিভেজে, লোমশ বুকের স্পর্শ।
আলতো ছুঁয়ে গভীর আলিঙ্গনে…….
ইশ্ কি হ্যাঙলা, কখনো পাওনি বুঝি?
তা হবে টুকটাক বৈকি।
সেসব আমার ক্ষুধার কাছে নস্যি
বোহেমিয়ান জীবনে ঢের আছে বাকি।
হতাম যদি সুলতান সোলেমান।
তুমি হতে হুররাম।
চাঁদনি রাত পেলে পাশা খেলতাম।
আঁকাতাম তোমার ছবি, হয়ে এস.এম সুলতান।
চলো আজ উঠি, যাবো নিরালায়।
এখানে বড্ড হট্টগোল।
পাকিয়ে যাচ্ছে তালগোল।
ভালোবাসার আলিঙ্গন হবে, স্বর্ণালি সন্ধ্যায়।