ফজলে রাব্বি, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
প্রায় দেড় হাজার বছরের ইতিহাস বহনকারী পঞ্চগড়ের ভিতরগড় দুর্গ নগরী নিয়ে শীর্ষক সেমিনার আজ মঙ্গলবার ৯ এপ্রিল সকাল ১০.৩০ মিনিটে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
ভিতর গড় প্রত্নতত্ত্ব অঞ্চলের অন্যতম গবেষক ও আবিষ্কারক অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান এর দীর্ঘদিন ধরে ভিতরগড় প্রত্নতত্ত্ব খনন কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশেষ ডকুমেন্টারী উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। এসময় জাহান বলেন ভিতর গড় প্রত্নতত্ত্ব অঞ্চল এশিয়ার সবচেয়ে বড় দুর্গনগরী ( ২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুরে যার অস্থান) এখানে যদি পর্যটন শিল্পে পরিনত করা যায় এই এলাকার মানুষের অর্থ নীতির সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে।
পঞ্চগড়ে ২৫০টি প্রত্নতত্ত্ব স্থান রয়েছে। পঞ্চগড়ে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের প্রাচীন নিদর্শন সমূহকে কাজে লাগিয়ে আলাদা আলাদা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় ১ আসনের এমপি নাঈমুজ্জামান মুক্ত তিনি বলেন হাজার বছরের ইতিহাস গাঁথা ভিতর গড় দুর্গ নগরী নানা নিদর্শন ঘেরা, রয়েছে প্রকৃতির নিসর্গ পরিবেশ। এই জনপদের দীর্ঘদিনের ইতিহাস যদি তুলে ধরা সম্ভব হয় যেমন এর পার্শ্ববর্তী এলাকা দার্জিলিং, নেপাল, ভুটানে যে পর্যটক আসে তার একটি অংশ আমাদের পঞ্চগড়ের ভিতরগড়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যা এলাকার লোকজন ঘুরে ঘুরে নিয়ে বেড়াবে সাথে সাথে অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরবে । আরো বলেন এই জনপদে যখন অট্টালিকা তৈরি হয়েছে তখন ইউরোপ, আমেরিকায় মানুষেরা জাজাবরের মতো জীবন জাপান করেছে। এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি। যা এই এলাকার মানুষদের সাথে নিয়ে গড়ে ওঠতে পারে অর্থ নৈতিক পর্যটন শিল্প। এই অঞ্চলের ইতিহাস শুধু জনশ্রুতি নয় বাস্তব বলে তুলে ধরেন।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ বলেন এই পর্যটন এলাকায় বৃহৎ আকারে মেলার আয়োজন করে সারা দেশের মধ্যে পরিচিতি করা সম্ভব । এই আয়োজনে জেলা পরিষদ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এ সময় পুলিশ সুপার শফিউল ইসলাম বলেন পর্যটন শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা নায় ভিতরগড় দুর্গ নগরী হতে পারে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দীন, অধ্যাপক হাসনুর রশীদ বাবু সাবেক পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকাস্থ পঞ্চগড় বাসী সমিতির প্রচার সম্পাদক তানবীরুল নয়ন বারী, চা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া সহ দুর্গনগরীর স্থানীয় লোকজন।