ঢাকা   ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হল শাওনের জানাযা ! কালিয়া মৎস্য অফিসে ব্যবসায়ীদের মাঝে মাছ সংরক্ষণের জন্য বক্স বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে চার দফা দাবী আদায়ে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন । ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় রেললাইন নয়: যেনো লাল গালিচা । কুরবানির ঈদ সামনে গরু ছাগল চোর হতে সাবধান ডিমলা থানার ওসির সতর্কবার্তা কুড়িগ্রামে নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে গভীর রাতে টিসিবির পণ্য বাড়িতে নেওয়ার চেষ্টা, আটকে দিয়েছে স্থানীয়রা । জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান সুবিধাভোগীদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দিলেন। উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সফলতা লাভে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই । ১২০৫ লিটার চোলাই মদ সহ ০২ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

শুকনো মরিচ বিক্রি হয় শালবাহা হাটে কৃষকেরা দাম পাচ্ছেনা 

Dainik Muktir Songbad
  • প্রকাশিত : শনিবার, মে ২৪, ২০২৫
  • 26 শেয়ার

মোঃ খাদেমুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

 

 

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান হাটে লাল টুকটুকে মরিচে সাজানো পুরো হাট। সূর্য ওঠার পর থেকেই হাটে আসতে শুরু করে মরিচ। ইজিবাইক এবং অটোরিকশা  করে তেতুলিয়া  উপজেলার বাংলাবান্ধা, তীর নই হাট, তেতুলিয়া, বুড়া-বুড়ি  ভজনপুর, দেবনগর কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসেন কৃষক ও পাইকাররা। এরপর শুরু হয় বেচাকেনার হাঁকডাক।

ভোরে সূর্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় ক্রেতা–বিক্রেতার ছোটাছুটি ও ব্যস্ততা। ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার দরদাম মিটলে তা তোলা হয় বড় বড় দাঁড়িপাল্লায়। সেখান থেকে বস্তাবোঝাই হয়ে তা ওঠে ট্রাক ও ভটভটির ওপর। চলে যায় বিভিন্ন গন্তব্যে।

এটি তেতুলিয়ার  শালবাহান হাট শুকনো মরিচের হাটের চিত্র। এ উপজেলায় মরিচ চাষ বেশি হওয়ায় জেলার একমাত্র মরিচের হাট বসে এখানে।দুটি তিরনই হাট এবং শালবাহান   ইউনিয়নে সংলগ্ন হাটে বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জ থেকে প্রচুর মরিচ আসে। সপ্তাহের শনি ও বুধবার দুই দিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই হাট বসে। এই অঞ্চলে শালবাহান হাট মরিচের বাজার হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ। প্রতি হাটে কোটি টাকার ওপর মরিচ কেনাবেচা হয়।

মরিচ হাট নামে পরিচিত এই হাট এখন লাল মরিচে রঙিন হয়ে উঠেছে। তেতুলিয়া উপজেলার এবং কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে কৃষকরা মরিচ বিক্রি করতে আসেন।উপজেলার তিরনই ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল জব্বার (৪৩) বলেন, বিঘা প্রতি কাঁচামরিচ উৎপাদনে ব্যয় হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

বিঘায় ৫০ মণের বেশি মরিচ উৎপন্ন হয়। ৫০ মণ কাঁচামরিচ জমিতে লাল রং হয়ে পাকার পর তা রোদে শুকিয়ে ১০ মণের মতো শুকনো মরিচ হয়। শুকাতে শ্রমিকসহ অন্যান্য আরও খরচ হয় প্রায় হাজার দশেক টাকা। সে হিসেবে ১০ মণ মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। ব্যয় বাদে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হয় তার।

মরিচ বিক্রেতা ডেমগছ  গ্রামের রফিকুল (৫২) ইনছান আলী (৩০) বলেন, মরিচ চাষ করে এই হাটে বিক্রি করতে আসি। শুধু আমি না এই হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসেন আমার মতো প্রায় হাজার খানেক কৃষক। ৪০ কেজিতে দুই কেজি মরিচ বেশি দিতেই হবে। এভাবেই কৃষক মরিচ খুচরা ব্যাবসায়ীদের কাছেই বিক্রি করছেন।

মরিচ চাষীরাতাদের ক্ষো ভ প্রকাশ করেন জানান, শুকনো লাল মরিচ খুচরা কেজি ১শত টাকার বিক্রি করতেই  হচ্ছে। লাল মরিচ বা শুকনো মরিচের কদর রয়েছে দেশব্যাপী। জেলার তেতুলিয়া উপজেলার শত শত বিঘা জমিতে মরিচের ব্যাপক ফল হয়ে থাকে।  মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়ার কারণে তেতুলিয়া  মরিচের রং সুন্দর ও আকার বড় হয়। এ কারণে, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা তেতুলিয়ার শালবাহান হাটে মরিচ কিনতে আসেন। তবে বেশি মরিচ কেনেন ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী নামি দামি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মরিচ পাইকারি কিনিত আসে।

তেতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস বলেন মরিচ চাষীরা এখনো মরিচ দাম পাচ্ছেনা।উপজেলার শত শত বিঘা জমিতে মরিচের ব্যাপক ফল হয়ে থাকে। মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়ার কারণে তেতুলিয়া  মরিচের রং সুন্দর ও আকার বড় হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৪