ঢাকা   ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুর্গাপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুলের রোগ মুক্তি কামনায় চুনারুঘাট উপজেলা ও পৌর যুবদলের দোয়া মাহফিল। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন একই পরিবারের- ০৪ জন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ” নতুন রূপে প্রকাশিত হওয়ায় চুনারুঘাটে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেনী কক্ষের সংকট বিশালপুর ইউনিয়নের মৎস্যজীবী দলের কমিটি প্রকাশ কুষ্টিয়ায় দখলবা‌জি-চাঁদাবা‌জি নি‌য়ে জেলা বিএন‌পির ক‌ঠোর হুঁশিয়ারি নতুন দুই সভাপতি পেল ইবির দুই বিভাগ জকিগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন বগুড়ার গাবতলীতে ট্রেনে কাটা পড়ে মহিলার মৃত্যু- ০১

লালমনিরহাট সুন্দ্রাহবি এলাকার অদম্য যুবক আহসান হাবিবের রোবট তৈরির গল্প

Dainik Muktir Songbad
  • প্রকাশিত : রবিবার, জুলাই ১৪, ২০২৪
  • 26 শেয়ার

মাটি মামুন, রংপুর প্রতিনিধি: 

 

লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মানিক বাজার (সুন্দ্রাহবি) এলাকার রোবট বয় খ্যাত যুবক আহসান হাবিব ২০২২ সালে যার খবর ছড়িয়েছে পুরো দেশজুড়ে। প্রতিদিন তার বাসায় ছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের আনাগোনা প্রশংসিত হয়েছেন সবার কাছে।

২০১৮ সালে হাবিবের বাবা মজু মিয়া একটি দুর্ঘটনায় মারা যান। আপন বলতে যার আছে শুধু মা, বড় ভাই, আর বোনজামাইরা তার এই গবেষণা কাজ চালিয়ে যেতে এনজিও ও অন্যান্য উপায়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা ঋণের বোঝা মাথায় থাকলেও হাবিব থেমে থাকেত অভাব অনটন আর কষ্টের মাঝে কাজ পাগল এই মানুষটির উদ্ভাবনের নেশা কখনও ফিকে হয়ে যায়নি।

তার নিজ প্রচেষ্টায় একের পর এক রোবট বানিয়ে গেছেন তিনি। তবে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া একটি প্রজেক্টের অনুদান তার কাজকে আরও তরান্বিত করেছে।চিট্টি, সোফিয়ার পর প্রায় ২ বছরের ব্যবধানে এবার হাবিব বানিয়ে ফেললেন তার স্বপ্নের পায়ে হাটতে সক্ষম রোবট ‘গল্পতরু গল্পতরু মানুষের মতো হাঁটতে পারে। ১৩ জুলাই ২০২৪ ইং শনিবার সরেজমিনে হাবিব এর সাথে কথা হয়।হাবিব বলেন আমার তৈরি অন্যান্য রোবটের সাথে এর পার্থক্য কি বা এর বিশেষত্ব গল্পতরু এর বিশেষত্ব হলো সে পা ফেলে  মানুষের মতো স্টেপ  বাই স্টেপ হাঁটতে পারে।

মানুষের মতো দৌড়াদৌড়ি করতে পারবে সমতল অসমতল উভয় জায়গা দিয়ে চলাচল করতে পারবে।মানুষের মতো সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারবে এমনকি চেষ্টা করলে পাহাড়ে উঠতেও সক্ষম হবে। বিগত দিনে যে রোবটগুলো তৈরি করা হয়েছিল সেগুলোতে হুইল সেট করা ছিল সেগুলো সব জায়গায় যেতে পারতোনা। আমি কাজ করছিলাম কীভাবে ডিফারেন্ট টাইপের কিছু করা যায় একটা রোবটকে কীভাবে মানুষের মতো হাঁটানো যায় এখন আমার এই গল্পতরু হাঁটতে পারে এটাই আমার একটা এক্সাইটমেন্ট

তিনি আরও বলেন এটাতে অনেক উচ্চগতি ও পাওয়ার সম্পন্ন মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। মানে যে কম্পনেন্টগুলো আছে তা অন্যগুলোর চেয়ে আলাদা যেকোন মানুষের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে আমার গল্পতরু। যেমন বাজার সদাই করাসহ অন্যান্য কাজে এই রোবট ব্যবহার করা যেতে পারে। এই রোবটটি কথা বলতে পারবে কিনা আর রিসিভিং ও সেন্ডিং টাইমটা আগের থেকে কম লাগবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে হাবিব বলেন, ‘এটা আগের গুলোর থেকে অনেক দ্রুত কাজ করবে। আসলে প্রত্যেকটা ডিভাইস স্টার্ট হতে একটু সময় নেয় এটার ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু গল্পতরু যখন কাজ করবে সেটা অন্য রোবটগুলো থেকে অনেক দ্রুততার সাথে সে উত্তর দিতে পারবে এবং কাজ করতে পারবে রোবটটি বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই কথা বলতে সক্ষম।

বিশ্বের আর কোন কোন  দেশে এমন রোবট আছে এ প্রশ্নের উত্তরে হাবিব বলেন বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি রাষ্ট্রে এরকম রোবট রয়েছে। যেমন আমেরিকাতে আছে জাপানে আছে, সিঙ্গাপুরে আছে, চিনে আছে, সৌদি আরবে আছে। তবে সেগুলো সব রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়।তবে আমার ক্ষেত্রে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই কাজগুলো শুরু করি। রোবটটি বানাতে কেমন খরচ হয়েছে বা ব্যক্তিগতভাবে কেউ কিনতে চাইলে কেমন খরচ পড়বে এই প্রশ্নের উত্তরে হাবিব বলেন আমরা যেহেতু বাংলাদেশে থাকি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে আসলে বেশি কস্টলি হলে হবে না। এগুলো আসলে লো বাজেটের মধ্যে করতে হয়। যেন সবার জন্য সহজলভ্য হয়।

এই গল্পতরুকে বানাতে গিয়ে আমার প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মত ব্যয় হয়েছে যেহেতু এটা প্রথম তাই আমার কাছে একটু ওভারপ্রাইজ মনে হচ্ছে। এরপরে যেটা বানাবো সেটা হয়তোবা সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার মধ্যে করে ফেলতে পারবো মানে ওই টাকায় গ্রাহকরা এই রোবটটি কিনতে পারবেন। আগে আমরা জেনেছি যে আপনার প্রায় ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে সেই ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে এবং এতো সংগ্রাম ও চাপ নিয়ে যে আপনি কাজটি করলেন সেক্ষেত্রে কার কার সহযোগিতায় আপনি পেয়েছেন? উত্তরে হাবিব বলেন আসলে আমার উৎসাহ আমি নিজে আমি যখন প্রচন্ড প্রেসারে থাকি টাকা পয়সা ফ্যামিলির খরচ। আমার বাবা নাই তাই আমাকেই ফ্যামিলি চালাতে হয় আমার যত সমস্যা আছে সবকিছু নিজের মধ্যে ধারণ করার ট্রাই করি কারণ এই যুগটা এমন যে সবাই ভালো সময় আপনার পাশে থাকবে কিন্তু খারাপ সময় কেউ পাশে থাকতে চায় না এমনকি নীতি কথা দিয়েও কেউ পাশে থাকবেনা।  আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহপাকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি কারণ তিনি আমাকে নিজের ভীতরে এসকল কষ্ট সইবার ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছেন। আমার নিজের শক্তিটা আসলে আমি নিজেই। এর মধ্যে আল্লাহর রহমতে আমার অনেকগুলো খুশির সংবাদ আসে আল্লাহপাককে ডাকার মাধ্যমে।

মন্ত্রণালয় থেকে কুরবানির ঈদের ৩-৪ দিন আগে সেকেন্ড ইনস্টলমেন্টটা পাই। সেটা প্রায় তিন লাখ টাকা যার ফলে আমি আমার কার্যক্রম পুনরায় চালু করি পরবর্তীতে আমি যখন অনলাইনে একটা মিটিংয়ে বসি গোটা বাংলাদেশের এরকম প্রজেক্টে যারা ২০২২ থেকে আছেন তাদের মধ্যে আমি প্রথম স্থান অধিকার করি উনারা আমার প্রজেক্ট দেখে অনেক প্রশংসা করেন স্যাররা আমাকে বলেন যে, লালমনিরহাটের মতো একটা জেলার অবহেলিত একটি গ্রামে বসে তুমি একটি ল্যাব তৈরি করতে পেরেছো, এরকম রোবট করতে পেরেছো এইটা অনেক বড় অর্জন তারা অনেক খুশি হয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের যারা খুশি হয়েছেন ও আমাকে সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন শামি আহমেদ স্যার উনি আমাদের ওই সিলেকশন বোর্ডের প্রধান ছিলেন মন্ত্রণালয়ের আরেকজন স্যার আছেন যার নাম আহসান স্যার তবে মূলত শামি আহমেদ স্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আপনি আমার খুশির সংবাদটা জানেন যে, আমি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি।

এই ড্যাফোডিলের ভর্তির বিষয়টা উনি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সবুর খান স্যারের সাথে কথা বলে উনি এটা নিশ্চিত করেন।  পরবর্তীতে ড্যাফোডিলের প্রধানের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে আরেকজন আমাকে সহযোগিতা করেন তিনি হলেন তৌফিক আহমেদ স্যার উনি ড্যাফোডিলের একজন টিচার তিনিই সবুর খান স্যারের সাথে কথা বলেন এরপর  আমার ভিডিও ও রিলেটেড ডকুমেন্টগুলো উনার সাথে শেয়ার করেন। পরবর্তী সময়ে আমাকে তারা শতভাগ ছাড় দিয়ে ভর্তি করে  নেন হান্ড্রেট পার্সেন্ট স্কলারশিপে আমি এখন ড্যাফোডিলের একজন স্টুডেন্ট।  আইসিটি এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি তথা এমসিটি ডিপার্টমেন্টে আছি।

হাবিব আরও বলেন এই পুরো কোর্সটা করতে গেলে শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে খরচ হয় ১৪-১৫ লাখ টাকা এছাড়া থাকা খাওয়া এবং আনুসাঙ্গিকসহ প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার ব্যাপার আমার সবকিছুই তাদের ব্যয় করার কথা রয়েছে ভর্তি থেকে শুরু করে টিউশন খাওয়া-দাওয়া সব উনাদের দেয়ার কথা এছাড়াও উনারা আমাকে উনাদের ল্যাবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন আমি ল্যাবে কাজ করে যেই ইনকামটা করবো সেটা দিয়ে আমার খাওয়া-দাওয়ার খরচ চলবে এবং আমি আমার বাড়িতেও টাকা পাঠাতে পারবো হয়তোবা এটাই আশা করছি।

আপনি যে এই অসাধ্য সাধন করলেন এক্ষেত্রে আপনার কি কি ত্যাগ রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে হাবিব বলেন,আমি অনেক পরিশ্রম করেছি এই যে এখন আপনার সাথে আমি কথা বলছি এখন প্রায় কিন্তু ম্যাক্সিমাম লোকেরাই ঘুমায় আপনি আমার মতই একজন সংগ্রামী ব্যক্তি তাই আমরা দুজনেই জেগে আছি আমি আসলে দীর্ঘ ৪-৫ বছর থেকে এভাবেই জীবন যাপন করছি নির্ঘুম রাত কাটছে শতশত সবই আমি আমার কাজের পিছনে ব্যয় করি আমার যে কতটা পরিশ্রম গেছে কতো টেনশনে ও খারাপ অবস্থায় ছিলাম তা ব্যাখ্যা করে কাউকে বুঝাতে পারবো না তবে আমি চাই যেন আমার মতো এই পরিস্থিতির শিকার কেউ না হয়।  আমার যে কাজগুলো এটা আমার নিজের থেকে বেশি আমার এলাকাটাকে তুলে ধরার জন্যই মূলত করা আমার দেশকে তুলে ধরার জন্য করা।

এই যে পায়ে হাঁটা একটা রোবট আমি তৈরি করেছি যা আজ কিংবা কালকের মধ্যেই আমি জনসম্মুখে হাজির করবো। এই রোবটটি আসলে অনেক প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ এলাকাতেও যেতে পারবে ইট পাথর খোয়া যেকোন কিছু থাকলে সে অতিক্রম করে যেতে পারবে

কোন বিদেশি সংস্থা থেকে কি আপনি কোন অফার পেয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে হাবিব বলেন, আমেরিকার কাবির নামে একজন ব্যবসায়ি আছেন উনি আমাকে সেখানে ডেকেছিলেন। ওখানে উনি একজনের সাথে কথা বলেছিলেন। কাজ করার সুযোগ হবে এমন আশ্বাসও দিয়েছিলেন এছাড়াও দুবাই ও আরব আমিরাত থেকেও অনেকে যোগাযোগ করেছিলেন। উনারা আমাকে ওখানে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করছেন কিন্তু আমি আমার পরবর্তী প্রজেক্টগুলোর জন্য এখন দেশে ছেড়ে যেতে চাচ্ছিনা।

এছাড়াও ড্যাফোডিল আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন তাই তাদের সম্মানের কথা ভেবেও আমি চাইছিনা আমার দেশের জন্য আমার অনেক কিছু করার আছে তবে একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন আমাকে আল্লাহপাক একটা ভালো পজিশন দিবে আমি শিক্ষাগ্রহণ করবো তারপরে হয়তোবা উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে পারি তবে দেশকে কিছু দেয়াই আমার মূল উদ্দেশ্য।  আমার রোবটগুলোর কাজ যখন আমি প্রথম থেকে শুরু করেছি আমি আসলে কোন কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাজগুলো করিনি আমার শুধু একটাই চাওয়ার ছিল যে আমাকে ভাল কিছু করতে হবে আমার এলাকার জন্য সর্বোপরি আমার দেশের জন্য আমাকে কিছু করতে হবে।  যাতে প্রযুক্তির দিক থেকে আমি আমার দেশটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে পারি।যেমন আজকে লালমনিরহাটের মত জায়গায় বসে যখন আমি তাদের সাথে মিটিং করলাম উনারা আশ্চর্য হয়ে গেছে যে আমার বাসা লালমনিরহাট।  উনারা অনেক অনেক খুশি।

আমি আমার জন্মস্থান লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার এলাকাকে সবার সামনে তুলে ধরতে চাই আর এক্ষেত্রে আমি আমার আশেপাশের মানুষ যারা আছে তাদের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ তারা আমাকে যে পরিমাণ ভালোবাসা দিয়েছে এবং আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করেছে তাই পরম পাওয়া আমাকে হয়তোবা তারা অর্থনৈতিকভাবে কোন হেল্প করতে পারেনি।  কিন্তু আমার জন্য তারা দোয়া করছেন এটাই বড় পাওয়া হয়তো এই কারণেই আমি আজকে এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি।

সব থেকে বড় যে বিষয়টা হচ্ছে আমার মা আমার মা যতটুকু পেরেছে আমাকে তার সাধ্যমত সাপোর্ট করেছে প্রতিনিয়ত আমাকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন। উনার সাপোর্ট ছাড়া আজকে আমি হাবিব আর হাবিব হতে পারতাম না এমনকি যে আমার বড় ভাই আছে বোন ও দুলাভাইরা আছে, তাদের সাপোর্ট ছাড়া আমি কোনভাবেই আগাতে পারতাম না। হাবিব বলেন, আমার সফলতার পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যারের। কারণ তারা আমাকে এই পর্যন্ত ৬ লাখ টাকা দিয়েছেন এই অসময়ে আসলে কেউ কাউকে এতো টাকা দিয়ে কখনো হেল্প করেনা বিশেষ করে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আমার এই কাজটি আজকে সফল হল। যেটা দিয়ে কিছুটা হলেও আমার কষ্ট লাঘব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পলক স্যারের মাধ্যমেই কিন্তু আজকে আমি ড্যাফোডিলের মত একটা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পেরেছি এতো নামিদামি একটা ভালো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ার আমি সুযোগ পেয়েছি এটা আসলে সবার পক্ষে সম্ভব হয়না আমি সব থেকে বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এই লোকগুলোর প্রতি কারণ তারাই আমাকে এই সুযোগ-সুবিধা গুলো করে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারের সন্তান আহসান হাবিব এইচএসসি’র পর অর্থনৈতিক কারণে যার লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশ্বের নামীদামী ল্যাবে বসে যারা গবেষণা করেন তারা যেমন পৃষ্ঠপোষকতা পান হাবিব ঠিক সেরকম কিছু না পেয়েও তার মেধা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে একে একে তার স্বপ্নগুলো পূরণ করছেন তার এই স্বপ্নগুলোকে অনেকে আকাশচুম্বী মনে হতে পারে ঠিক যেমন একদিন চাঁদে যাওয়ার বিষয়টি আকাশচুম্বী মনে হতো! হাবিব তার স্বপ্ন নিয়ে আরও এগিয়ে যাবেন এবং তার কথামতো দেশকে ভাল কিছু উপহার দিবেন এই প্রত্যাশা।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৪