মোঃ বকুল শেখ, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান:
বগুড়া শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি বালিকা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার ২০২৪ ইং এর প্রজেক্ট, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ মাত্রা অর্জনে “স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন ” এর উদ্বোধন করা হয়।
মঙ্গলবার ১৬ জুলাই সকাল ১১ টায় খামারকান্দি বালিকা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার ২০২৪ ইং এর প্রজেক্ট, “স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন ” এর উদ্বোধন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি সোহাগ রায়ের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সুমন জিহাদী, মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা (অবঃ), বন গবেষণা ইন্সটিটিউটয়ের মোঃ রফিকুল ইসলাম, এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর শেরপুর প্রতিনিধি সবুজ চৌধুরী ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম রেজা।এছাড়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের সেচ্ছাসেবী কাজের একটি বড় অংশ বৃক্ষ রোপণ করা। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষের বিকল্প নেই। আমরা প্রতিবছর সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে বৃক্ষরোপন করে থাকি। এবছর ও বৃক্ষ রোপণের অংশ হিসেবে “স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন” করা হচ্ছে। স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন এর আওতায় আমরা দেশীয় প্রজাতি বৃক্ষ রোপণ ও সংরক্ষণ করছি , শিক্ষার্থীদের বৃক্ষ রোপনে উৎসাহিত করতে, তাদের মাঝে বৃক্ষ বিতরণ করছি এবং সহযোগিতা পেলে এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে।
সংগঠনের সভাপতি সোহাগ রায় বলেন, স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন এর মূল উদ্দেশ্য হল দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ সংরক্ষণ ও ছড়িয়ে দেওয়া। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় অগোছালোভাবে গাছ লাগিয়ে থাকে। কিন্তু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না থাকার কারণে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। এতে উজার হয় হাজার হাজার পূর্ণ বয়স্ক বৃক্ষ। সমসাময়িক জলবায়ু পরিবর্তনের এই দুঃসময়ে ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে, হাজার হাজার কাটার আবেদন আসছে। রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশের গুরুত্ব বোঝাতে আমরা সেচ্ছাসেবীরা পরিকল্পিতভাবে এই “স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন ” কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এই পরিকল্পনায় আমরা বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় গাছের চারা রোপণ করছি। যেন বিদেশি প্রজাতির সমাহারে দেশীয় প্রজাতি হারিয়ে না যায়।
বন গবেষণা ইন্সটিটিউট এর অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় প্রজাতির ফুল, ফল,ঔষধি ও কাষ্ঠল গাছ লাগানো হয়ে। এগুলোর মধ্যে ছিল সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, বকুল, নিম, জয়তুন, নারিকেল, জলপাই, আমড়া, অর্জুন, লটকন ইত্যাদি । এতে শিক্ষার্থীরা দেশীয় প্রজাতির সাথে পরিচিত হবে এবং সংরক্ষণে এগিয়ে আসবে। এছাড়াও দেশীয় প্রজাতির এই গাছ গুলোতে বন্যপ্রাণীরা খাবার ও বাসস্থান পাবে। এতে স্মার্ট স্কুল প্লান্টেশন সমগ্র জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সুমন জিহাদি বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। পরিবেশ রক্ষায় অন্য সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।