মোঃ শফিয়ার রহমান, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
খুলনার পাইকগাছায় দেলুটি ফুলবাড়িয়া বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন কতৃপক্ষের অদক্ষতা ও ব্যর্থতায় ভোট চলমান অবস্থায় বন্ধ করতে ন্বাধ্য হয়েছেন কতৃপক্ষ। নির্বাচন কমিটির সভাপতি ও সমবায় কর্মকর্তা ২ ঘন্টা বার্থরুমে অবরুদ্ধ।
প্রার্থীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও ভোটাররা পড়েছে ভোগান্তিতে। ২০ এপ্রিল তফশীল ঘোষনার পর মাসব্যসেী ৬ টি পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।শনিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু হয়। পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলার থেকে প্রায় আড়াই হাজার সদস্য এ সমিতির। ২ হাজার ৬’জন ভোটার। প্রত্যেকেের দারে দারে ঘুরেছে প্রার্থীরা। এদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির ব্যালট পেপারসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে যথারীতি ভোট গ্রহণ শুরু করেন। এরমধ্যে সদস্য পদে তার টেবিল ফ্যান মার্কার বদলে টেলিফোনের মার্কা ছাপান। এর মধ্যে ১১৩ ভোট প্রয়োগের পর বিষয়টি জানাজানি হয় ব্যালটে প্রতীক ভুল আছে।
টেবিল ফ্যানের জায়গায় টেলিফোন প্রতীক দেয়া হয়েছে। অশান্ত হয় পরিবেশ। উত্তেজিত জনতা সমবায় কর্মকর্তার কাছে কৈফিয়ত তলব করে এবং তাকে পাশে বার্থরুমে প্রায় ২ ঘন্টা আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। বিষয়টি কর্মকর্তা নিজেও স্বীকার করেছেন। এরপরও তিনি ভোট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে পরিবেশ আরও উত্তাপ্ত হলে তিনি নির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্যহন। এবিষয়ে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আনারুল গাজী বলেন,নির্বাচন করতে যে প্রত্যেকেরই লাখ লাখ টাকা খরচ করেছে। এই টাকা কে দেবে? এবিষয়ে বর্তমান সভাপতি ও সভাপতি প্রার্থী দ্বিজেন নাথ মন্ডল ভুলের উর্ধে কেউনা। পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে।
সমবায় অফিসার ও নির্বাচন কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন ভুল হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে বসাবসির কথা হয়েছে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি এখনও আমাকে জানানো হয়নি। এটা সমবায় বিভাগের কাজ। তাদের উর্ধতন কতৃপক্ষ রয়েছে।তারাই পদক্ষেপ নিবেন। তারপরও যদি আমার এখানে আসেন তাহলে জেনে শুনে কি করা যায় তা দেখা যাবে।