মোঃ শফিয়ার রহমান পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:
আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পাইকগাছা উপজেলা প্রসাশন ৭দিনের মধ্যে ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশনার পর ভাটা মালিক ও হাজার হাজার শ্রমিকরা পড়েছে চরম বিপাকে। এ বিষয়ে ভাটা মালিকরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাদের দুর্ভোগ ও দুর্গতির কথা তুলে ধরেন।
ভাটা মালিকরা জানান, আমাদের ভাটার ছাড়পত্র বা লাইসেন্স নাথাকলে। আমরা মহামান্য হাইকোর্টে লাইসেন্স ও ছাড়পত্রের জন্য রিট পিটিশন করেছি। আমরা ভাটার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এখন ভরা সিজন। এসময় ভাটা বন্ধ হলে কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়বে ভাটা মালিকরা। দিনমজুর হাজারো শ্রমিক বিপক্ষে পড়ে যাচ্ছে ।
এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে মঙ্গলবার দুপুরে ইটভাটা মালিক’রা করনীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
আল্লারদান ( এডিবি) ব্রিকস এর মালিক মো, আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন এসএকে ( মা) ব্রিকস এর মালিক রুহুল আমিন খাঁন, ত্রি-স্টার ব্রিকস এর- আশরাফুল আলম, মেসার্স এএসএম ব্রিকস এর – জি,এম অহেদুজ্জামান, সরদার ( এমএসবি) ব্রিকস এর- কামাল সরদার, ফাইভস্টার ব্রিকস এর- মো, মিরাজুল ইসলাম, বিএকে ব্রিকস এর-এম মহিউদ্দিন খান,সরদার মা ব্রিকস( এসএম)- নাজমুল হুদা মিথুন, ও বিসমিল্লাহ ( বিবিএম) ব্রিকস এর মালিক খলিলুর রহমান।
সভায় ভাটা মালিকরা মানবিক আবেদন জানিয়ে বলেন, বিগত ২০১২-২০১৩ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে ও ডিসি’র অনুমতি ও লাইসেন্স, প্রতিবছর সরকারি রাজস্ব, ভ্যাট,আয়কর, ভোক্তা অধিকার, ফাঁয়ার সার্ভিস,শ্রম অধিকার সনদ নিয়ে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছি।
এসময় ভাটা ভাটা মালিক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাটা বন্ধ হলে আমরা মাঠে মারা যাব। সব শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া উপজেলায় ১৩ টি ভাটায় প্রায় অর্ধ লক্ষ নারী পুরুষ শ্রমিকের কাজ করছে। যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এ শ্রমিকরা আরো বলেন মাহে রমজান শেষেই সামনে পবিত্র ঈদ মুখে আমার এমনত অবস্থায় আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে মরা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না আমাদের ।