কাজী মোস্তফা রুমি, বিশেষ প্রতিনিধি:
দ্রব্যমূল্য ও মানুষের জীবনযাত্রা এ দুটি একই সূত্রে গাঁথা। প্রতিটি পরিবার কীভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করবে তা নির্ভর করে আয়, আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য ও ভোগ্যপণ্যের মূল্যের ওপর। ভোগ্যপণ্যের মূল্য যখন ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তখন মানুষের মধ্যে থাকে এক ধরনের স্বস্তির ছাপ।
অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে, তখন তাদের জীবনে ধীরে ধীরে নেমে আসে নানা ধরনের অসুবিধা ও অশান্তি। বর্তমানের সংকটময় মুহূর্তে এ ধরনের অসুবিধায় দিন পার করছে দেশের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। যারা লজ্জায় না পারছে কাউকে কিছু বলতে, না পারছে কারও কাছে হাত পাততে।
এই মুহূর্তে যে হারে নিত্য দ্রব্যের মূল্য উর্ধ্বগতি এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কেউ পূর্বের জমানো সঞ্চয় থেকে জীবন নির্বাহ করছে, আবার কেউ আয়ের সঙ্গে খরচের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে জীবনযাত্রার মান কমিয়ে কোনোভাবে দিন কাটাচ্ছে। একদিকে আর্থিক অনটন, অন্যদিকে এ সময়ে যদি দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তাহলে তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিগত কয়েক মাসের ব্যবধানে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচামরিচ, আলু, চিনি, ডিম, কাঁচা শাকসবজি সহ প্রায় প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। এর ফলে সমাজের মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণি খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। তাই এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতির বিষয় নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে গণমাধ্যমের কথা হয়।সাধারণ ক্রেতারা বলেন- প্রতি সপ্তাহে একটা না একটা পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবেই। এটি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। একদিন বৃষ্টি কারণে তো অন্যদিন রোদের কারণে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব অজুহাত হাস্যকর।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনো ব্যবসায়ী যেন সিন্ডিকেট করে পণ্যের কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি করে এই সকল সিন্ডিকেট অতি দ্রুত ভেঙে দেওয়া সরকারের উচিত বলে মনে করেন সাধারণ ক্রেতারা।