মান্না আহমদ, স্টাফ রিপোর্টার (নবীগঞ্জ):
নবীগঞ্জ নিখোঁজের চার দিন পর মৎস্য ফিশারী থেকে সারজিদ মিয়া (৯) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। (১১ অক্টোবর) শুক্রবার রাত ৮ টায় দিকে নিহত শিশু সারজিদ বাড়ির পাশের একটি ফিসারি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশু সারজিদ মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের আল-আমিনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত (৭ অক্টোবর) ওই শিশু তার খেলার সাথীদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আলীগঞ্জ সেতুতে খেলাধুলা কারছিল। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে নৌকা বাইচ দেখানো কথা বলে চার শিশুকে নিয়ে যায়। পরে নৌকা বাইচ দেখা শেষে একই স্থানে তিন শিশুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। তবে অপহৃত শিশু সারজিদ ও অভিযুক্ত ছালিম উদ্দিন আর ফিরে আসেনি। অনেক খোজাখুজির পর শিশু সারজিদকে না পেয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন তার পিতা আল-আমিন।গ্রেফতারকৃতরা হলো, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের মৃত কছর মিয়ার ছেলে ছালিম উদ্দিন (৪৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুর শহিদের ছেলে জনি (২৫) ও বাগময়না গ্রামের মৃত আব্দুল নওয়াফের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৫)। পরে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) তাদের আদালতে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাত ৮টায় নবীগঞ্জ উপজেলার উমরপুর গ্রামের একটি মৎস্য ফিশারীতে শিশু সারজিদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে শিশু সারজিদ নিখোঁজ ছিল। তার সহপাঠিরা জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা তাদেরকে মিশুকযোগে নিয়ে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এ বিষয়ে মামলা হলে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।