সাংবাদিক এম বাদল খন্দকার
এক যে ছিল নদী
রুপ-লাবণ্যে টলটলে আখি
আঁকাবাঁকা অঙ্গ দোলায়
স্রোত বহমান তার তরী।
কত নামে সুধায়েছেন কবি
চঞ্চল ঢেউয়ে চলে মোহনাতে
ঢেউ তুলে কাপন জাগায়
হৃদ অণুকম্পনের রন্দ্রে।
আড়চোখে রেশ কাটে
মনও হরিণীর ভুবন জুড়ে
পাগলা পাবন কাঁপন ধরায়
নদীর যৌবনের বহমান স্রোতে।
নব যৌবনে ছুটে সে
বাংলার মানচিত্রে স্বর্ণলতার মত
বিস্তার ছড়িয়ে উৎপত্তিস্থল থেকে
পাখপাখালির যৌবন তরঙ্গে
মিলন মেলার অভয় অরণ্যে
ছুটে আসে দলবেঁধে তৃষ্ণার্থ ঠোটে
নদীর জলে উচ্ছ্বাস ভরা সোরগোলে।
খুঁজে নেয় ভালোলাগা একটু প্রশান্তি
খুঁজে নেয় প্রিয় নদী….নদীকে..
সে কি পদ্মা
সে কি মেঘনা
সে কি যমুনা…………………..?
মনের জ্বালা জুড়ায়
খরা তাপে উষ্ণ ঠোঁটে
আপন করে নেয় নদীকে
ভালোবাসা যেন জন্ম-জন্মান্তর থেকেই
সবাই তৃষ্ণা মেটায় ভালোবাসায় ডুবে
ঝলমল রূপে কাছে টানে
সে এক যৌবন ভরা ঢেউ খেলানো নদী।
কি তৃপ্তি তেষ্টা পূর্ণতা ছড়িয়ে
সবার মনের যৌবনা সে
পৃথিবীর সাথে বন্ধুত্বতার
ভরা জোছনায় ডুবে আলিঙ্গনে
প্রিয় নদীর মগ্নতায়।
খুঁজে যায় প্রতীক্ষার প্রহর
বর্ষার ঝমঝম বৃষ্টি আলিঙ্গনে জড়ায়
বর্ষা এলেই যেন তার যৌবন ফিরে পায়
যৌবতী নদীর কানায় কানায়।