ঢাকা   ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০ নং ফোল্ডারের ১১ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা দুর্গাপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুলের রোগ মুক্তি কামনায় চুনারুঘাট উপজেলা ও পৌর যুবদলের দোয়া মাহফিল। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন একই পরিবারের- ০৪ জন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ” নতুন রূপে প্রকাশিত হওয়ায় চুনারুঘাটে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেনী কক্ষের সংকট বিশালপুর ইউনিয়নের মৎস্যজীবী দলের কমিটি প্রকাশ কুষ্টিয়ায় দখলবা‌জি-চাঁদাবা‌জি নি‌য়ে জেলা বিএন‌পির ক‌ঠোর হুঁশিয়ারি নতুন দুই সভাপতি পেল ইবির দুই বিভাগ জকিগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে কুড়িগ্রামের ফসলের মাঠ

Dainik Muktir Songbad
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
  • 10 শেয়ার

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

 

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ইং ১১:৫৯ এএম.

কুড়িগ্রামে দাবদাহ ও খরায় পুড়ছে ফসলের ক্ষেত। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। প্রচণ্ড রোদে খা খা করছে সর্বত্র।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সেচ ব্যবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। কুড়িগ্রামে খরায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাদামের আবাদ।

বাদাম চাষিরা বলছেন, বাদাম চাষ হয় বালু মাটিতে। এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। এর মধ্যে তীব্র রোদে বাদামের গাছ ঝিমিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত সেচ দিয়ে গাছগুলো স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। নিয়মিত সেচ না দিলে গাছগুলোর মরে যেতে পারে। গত বছর এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। তবে এবার এক বিঘা জমিতে খরচ হবে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। যার ফলে উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়েও চিন্তিত তারা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে এবার ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বাদামের ফলন কিছুটা কম হতে পারে।

উলিপুর উপজেলার তিস্তা পাড়ের গোড়াই পিয়ার এলাকার বাদাম চাষি মিজানুর রহমান বলেন, তীব্র রোদে সেচের পানির উপরে নির্ভর করে বাদামের আবাদ করছি। খেত সবসময় নজরদারিতে রাখছি। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ফলনও কম হবে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচও দ্বিগুণ হবে।

ওই এলাকার আরও এক কৃষক নুরুজ্জামান বলেন, যতদিন বৃষ্টি হবে না ততদিন সেচ দিতে হবে। সেচ না দিলে গাছ ঝিমিয়ে যাচ্ছে। গাছ মরে গেলে তো আবাদ শেষ। প্রতি জমিতে একদিন পর পর পানি দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে একটু শান্তি পেতাম।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বেশকিছু দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। তবে তিন তারিখের পরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমিতে সেচ দিতে হবে নিয়মিত। যে দাবদাহ চলছে সব ফসলেই সেচ দিতে হবে। যেহেতু বৃষ্টি নেই আবার পানির বিকল্প কিছু নেই। তাই আমরা ধান, সবজি, বিভিন্ন ফলসহ সব ফসলেই সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৪