মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
‘কৃষকের বাজার’ থেকে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অস্বস্তিতে আছে মানুষ। এই অবস্থায় জনমনে স্বস্তি ফেরাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়করা।
কৃষক ও ক্রেতাদের মেল বন্ধনের উদ্দেশ্যে চালু করেছে কৃষকের বাজার। যেখানে সরাসরি কৃষকরাই বিক্রেতা হিসেবে তাদের পণ্য বিক্রি করবে । এতে একদিকে স্বল্প মূল্যে পণ্য কিনতে পারায় যেমন খুশি সাধারণ ক্রেতারা, অপরদিকে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরাও। সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের বাজারে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পারছে। এতে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন তারা, থাকছে না কোনো মধ্যস্বত্বভোগী। ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরে মানবতার সওদাপাতি নামে বসা অস্থায়ী এ বাজারে নিজেদের ক্ষেতের লাউ, শিম, মূলা, বরবটি, আলু, কাচামরিচসহ অন্যান্য কাচা সবজির পসড়া নিয়ে বসেছেন কৃষকরা। সকালে ঐ বাজারের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা ।
বাজারের চেয়ে প্রতিটি পণ্যে ৫ থেকে ১০ টাকা কম পেয়ে খুশি ক্রেতারা । সকাল থেকেই ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায় বাজারে । অপরদিকে পলিথিন মুক্ত বাজার করতে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করা এ বাজারের আরেকটি বিশেষ ব্যবস্থা। সরবরাহ করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ভুট্টার আঁশে তৈরি বিশেষ ব্যাগ ও পাটের ব্যাগ। সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ বাজার চলে মধ্য দুপুর পর্যন্ত। শুধু কাচা সবজিই নয়, এ বাজারে পাওয়া যায় মাছ মাংস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যই ।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ছুটির দিনে সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের পণ্য পাওয়া নিশ্চিতে এই বাজার চালু করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সাধারণ জনগণ চাইলে আরও বড় পরিসরে করা হবে । এমন ছোট ছোট উদ্যোগ, পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যেমন ভূমিকা পালন করবে, তেমনি বাজার নিয়ন্ত্রণেও ফেলবে উল্লেখযোগ্য প্রভাব- এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের ।