মোঃ রমজান আলি, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পরই শুরু হয়েছে ব্যাংকের চাকরিচ্যুত করার রীতি। বেশিরভাগ চট্টগ্রামের পটিয়ার ছেলে হওয়াতেই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের ২০২৪ সালের মধ্যে এস আলম এর আওতায় নিয়োগ প্রাপ্ত লোকদের চাকরিচ্যুত করেছেন উক্ত ব্যাংক গুলো।
চট্টগ্রামের পটিয়ার ছেলে হওয়াতেই ব্যাংকের চাকরিই হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য কাল বা অভিশাপ। প্রথমত, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকই চাকরিচ্যুত করেছে ৬৭৮ জন। যাদের বাড়ি বেশিরভাগ চট্টগ্রামের পটিয়ায়। দ্বিতীয় ধাপে ইউসিবি ব্যাংকের অফিসারদের চাকরিচ্যুত করেন। তৃতীয় দফায় ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৫০ জনের নিয়োগ বাতিল করে চাকরিচ্যুত করেন।
চতুর্থ দফায়, গতকাল সোমবার ইউনিয়ন ব্যাংক ও ২৬২ জনকে চাকরিচ্যুত করেন। যার হিসাব দাঁড়িয়েছে হাজারের উপরে। সকল চাকরিচ্যুত ব্যাংকারদের অপরাধ ছিল তারাই হচ্ছে চট্টগ্রামের পটিয়ার ছেলে। এস আলমের নিয়োগপ্রাপ্ত।
২০২৪ সালের যাদের জয়নিং ছিল ইসলামী ব্যাংকের। তাদের মধ্যে ও জয়নিং লেটার বাতিল করে দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। চাকরিচ্যুত একজন বলেন, আমরা এই লাল স্বাধীনতা এনেছি কি এসব দেখার জন্য।চট্টগ্রামের ছেলে হওয়াতেই যদি আমাদের অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে সেই অপরাধের বিচার যদি চাকরিচ্যুত করা হয়, তাহলে আমাদের পরিবারের দায়িত্ব নিবে কে??
সরকার পতনের পর থেকেই আলো দেখেছিল সাধারণ মানুষেরা। কিন্তু এখনো স্বৈরাচারী সরকারের আওতায় রয়েই গেছে বলে মন্তব্য করেন চাকরিচ্যুত ব্যাংকাররা।নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে হাজার পরিবারের স্বপ্ন।কয়েকজন চাকরিচ্যুত ব্যাংকারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এস আলমের নিয়োগপ্রাপ্ত এবং চট্টগ্রামের পটিয়ার ছেলে হওয়াতেই আমাদের চাকরিচ্যুত করেছেন।
যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তারা সবাই মানববন্ধন করেও কোন ফল পাইনি। বর্তমান চট্টগ্রামের পটিয়ার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। যার কারণে পটিয়ায় বেকারত্ব বেড়ে যাচ্ছে। একটা ব্যাংকের কাছ থেকে দেখতেই দেখতেই ইউসিবি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যাংকারদের চাকরিচ্যুত করেছেন। এতে আরো দেখা যাচ্ছে আরো অন্যান্য ব্যাংক আছে তারাও সেই একি পথেই হাঁটছে।
এভাবে যদি প্রতিটি ব্যাংক ব্যাংকারদের চাকরিচ্যুত করে তাহলে একদিন চট্টগ্রামের পটিয়ার করুণ অবস্থা হবে। যার কারণে পটিয়ায় বেকারত্ব বেড়ে যাবে।