কাজী মোস্তফা রুমি, বিশেষ প্রতিনিধি:
আজ ৭ মে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয়বারের মত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখান করে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি। সেদিন ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসে পৌঁছলে লাখো জনতা তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়।
তাই আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য তনয়া, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দ্বিতীয়বারের মতো স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন দক্ষিণ টাঙ্গালের আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম প্রাণপুরুষ, নাগরপুর দেলদুয়ার গণমানুষের জনপ্রিয় নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সংগ্রামী সহ-সভাপতি জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
এ বিষয়ে জননেতা তারেক শামস খান হিমু গণমাধ্যমকে বলেন – ২০০৭ সালে তৎকালীন সেনার সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরতে চাইলে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক দৃঢ়তা ও গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর চাপে শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে ২০০৭ সালের ৭ই মে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন আরো দুর্বার গতি পায়। এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পিছু হটে দেশের নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।
গণতন্ত্র সুরক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এক দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত।
তাই আজকের এই দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সেই দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত হতে শিক্ষা গ্রহণ করে আগামী দিনে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানাই।