ঢাকা   ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুর্গাপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুলের রোগ মুক্তি কামনায় চুনারুঘাট উপজেলা ও পৌর যুবদলের দোয়া মাহফিল। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন একই পরিবারের- ০৪ জন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ” নতুন রূপে প্রকাশিত হওয়ায় চুনারুঘাটে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেনী কক্ষের সংকট বিশালপুর ইউনিয়নের মৎস্যজীবী দলের কমিটি প্রকাশ কুষ্টিয়ায় দখলবা‌জি-চাঁদাবা‌জি নি‌য়ে জেলা বিএন‌পির ক‌ঠোর হুঁশিয়ারি নতুন দুই সভাপতি পেল ইবির দুই বিভাগ জকিগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন বগুড়ার গাবতলীতে ট্রেনে কাটা পড়ে মহিলার মৃত্যু- ০১

আজ আমাদের ছুটি

Dainik Muktir Songbad
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, জুন ২০, ২০২৪
  • 50 শেয়ার

লেখকঃ সাম্য শফিক

 

নাগরিক আর যান্ত্রিক জীবনযাপনে বড়ই ত্যক্ত চিত্ত আমার। সহসাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দায়। দায়িত্বের ঘানি টানতে টানতে যখন নাভিশ্বাস। তখন ক্ষণিক মুক্তি মেলে ঈদ উৎসবকে ঘিরে।

তাছাড়া বছরের অন্যকোন সময়ে- ফুরসত মেলানো ভার।
সময় সংকটে আত্নচিৎকার।
দিন শেষে ঘরে ফেরা,
ঘুম পেরে ফের জাগা।
একঘেয়ে জীবনটা।
জীবনকেই খেয়ে ফেলছে-
যত্নে রাখা ঘুনে পোকা।

উপায়ান্তর না পেয়ে ঈদ উৎসব গুলোই আমার মতো ভুক্তভোগীদের স্বস্তির অক্সিজেন দেয়। বছর অন্তর গ্রামে ফেরার একটা সুযোগ আসে। আত্নীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সাথে দেখা হয়। আমার ল্যাংটা কালের বন্ধুদের সাথে দেখা হয়। কতো গপ্পগুজব হয়। বিশেষ করে ছবির তিনজন। ওরা বেশ সৌখিন। প্রায়ই বন্ধুমহলের কেউ না কেউ নতুন হোন্ডা কেনে। নতুন হোন্ডায় সোয়ারি হয়ে অনেকটা পথ পাড়ি দেই আমরা।

যেতে যেতে চোখে পড়ে দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ। তার বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে ছিপছিপে রাস্তা। মেয়েদের আইব্রো’র মতো বাঁকানো মসৃন পিচঢালা। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি গাছ। অকারণে মাইলের পর মাইল দূরে চলে যাওয়া হয় আমাদের। যেতে যেত পথিমধ্যে যাত্রাবিরতি। কোনো স্টলে বসে চা-পানি খেয়ে বিশ্রাম নেই।

কোথাও রাস্তার পাশে ঘাসের মধ্যে পা ছড়িয়ে বসে পড়ি। সিগারেট, বাদাম চানাচুর চিপস খেতে খেতে শৈশবের ফেলা আসা দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ হয়। কতো রঙ্গরসিকতা হয়। শিরশিরে বাতাস। নির্মল নিষ্পাপ বাতাসে মূহুর্তে ঘর্মাক্ত শরীর শীতল হয়ে যায়। মনে প্রশান্তি আসে। কি চমৎকার সেই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সাথে সূর্যাস্ত।

কোথাও কিছুটা ধান কাঁটা হয়েছে। কোথাও বাকি আছে। স্বর্ণালি পাকা ধানের শীষ রূপসীর কানে পরা ঝুমকোলতার মতো দুলছে। অনেক জমিতে পানির দেখা নেই। আবার নিচু ধাঁচের আউশ ধান ক্ষেত জলে ভরেছে।

শৈশবে পড়ে আসা কবি গুরুর সেই বিখ্যাত কবিতা মনে ঢেউ তুলছে।

আষাঢ় কবিতায় – রবি ঠাকুর লিখেছিলেনঃ

– নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।
– ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
– বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর,
– আউশের ক্ষেত জলে ভরভর,
– কালি-মাখা মেঘে ও পারে আঁধার
ঘনিছে দেখ্ চাহি রে।

কবিতাটার রচনাকাল আজ হতে প্রায় সোয়াশত বছর আগের। অনেককিছু বদলে গেছে। জীবন-জীবিকা। সমাজ ব্যাবস্থা। ভৌত অবকাঠামোগত বিস্তারের প্রয়োজনে গ্রামগুলো তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে।সেসময়ে বাংলার ঋতুবৈচিত্র সমভাবাপন্ন ছিলো। চরমভাবাপন্ন প্রেক্ষাপটে কবিতাটা অনেকক্ষেত্রে বেখাপ্পা লাগে। আষাঢ় মাসে-ও মেঘের কলশি ঠনঠনে। ভ্যাপসা গরমে ত্রাহি অবস্থা। তাই তো মাঝেমধ্যে বিষবার্তা দিতেও দ্বিধা করে না প্রজন্মের হাইব্রিড’রা।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৪