ঢাকা   ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেট এস এম পি ডিবির অভিযানে ভারতীয় পেঁয়াজ উদ্ধার। আরিফুল হক চৌধুরীর প্রচার শুরু সিলেট ৪ আসনে। দাওয়াতুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মহিলা মাদ্রাসার শুভ উদ্বোধন। চার মামলায় পলাতক থেকেও বে-পরোয়া ‘ডেভিল’ শাহানা উলিপুরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আজিজ সত্যি প্রশংসার দাবিদার। নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে উত্তাল পল্টন বিজিবি ৫৯ মহানন্দা ব্যাটালিয়ন কর্তৃক পৃথক দুটি অভিযানে মাদকসহ এক আটক বিএনপি যা বলে তাই করে, আর জামায়াত ধর্মকে পুঁজি করে ধোঁকাবাজি করে- মীর শাহে আলম জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে জুলাই যোদ্ধা সুমাইয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

সুন্দরিবালা ১৯৭১ সালে চুকনগর গ্রামে গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া সেই শিশু অতঃপর

Dainik Muktir Songbad
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, মার্চ ৭, ২০২৪
  • 75 শেয়ার

উজ্জ্বল কুমার সরকার, খুলনা প্রতিনিধি: 

সুন্দরিবালা একাত্তরে চুকনগর গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া সেই শিশু আজ অতঃপর সময়টা ১৯৭১ সালের ২০ মে। খুলনা জেলার চুকনগর গ্রাম, ভদ্রা নদীর পাড়। মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বর্বরতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল এখানে। একসঙ্গে ১০ হাজার হিন্দু -মুসলমান নর-নারী ও শিশুকে সেদিন হত্যা করেছিল পাকিস্তান বাহিনী। পাকিস্তানের দোসর এদেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনী সেই নৃসংশ হত্যাযজ্ঞে সরাসরি সহযোগিতা করেছিল। চুকনগরের প্রতিটি বাড়ি থেকে সব বয়সের নারী-পুরষকে ধরে এনে দাঁড় করিয়েছিল একটি মন্দিরের সামনে। সেদিন সেই মন্দিরের উঠোন শ্মশানে পরিণত হয়। হত্যাযজ্ঞের একদিন পর সেই শ্মশানে লাশের স্তুপে নিজের পিতাকে খুঁজতে আসেন গ্রামের এক সাধারণ কৃষক এরশাদ আলী মোড়ল।অনেক পুরুষ মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তার পিতার লাশ না পেয়ে চলে যাওয়ার সময় একটি শিশুর কাঁন্নার শব্দ শুনে তিনি থমকে দাঁড়ালেন। পেছনে ফিরে এসে দেখেন যে, মহিলাদের লাশ পড়ে আছে তাঁর মধ্যে একজন মহিলার বুকের উপর হামাগুরি দিয়ে একটি শিশু দুধ পানের চেষ্টা করছে। তিনি শিশুটিকে কোলে তুলে নিলেন এবং মহিলাটির দিকে তাকালেন। দেখলেন মহিলাটির হাতে ধবধবে সাদা শাঁখা মাথায় রক্তরাঙা সিঁদুর। বুঝতে বাকি রইলো না মহিলাটি সনাতন ধর্মের। শিশুটির বয়স আনুমানিক ৬ মাস। কণ্যাশিশু। তিনি বাড়ীতে নিয়ে গেলেন। সনাতন ধর্মের সাথে মিল রেখে নাম রাখলেন রাজকুমারী সুন্দরীবালা। ঘরের কোনে ঠাকুরঘর উঠানে তুলসী গাছ এবং শেখানো হয় গীতা পাঠ। একই ঘরে মাগরিবের আযান ও উলু ধ্বনি একাকার হয়। এ যেনো মানুষ ও মনবতার এক অমর গাঁথা দৃষ্টান্ত। রাজকুমারী সুন্দরীবালা ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে ওঠেন। একসময় তিনি হিন্দুরীতি মেনে এক হিন্দু সম্প্রদায়ের পাত্রের কাছে তাঁর বিয়ে দেন। এই অসাম্প্রদায়িকতার দৃষ্টান্ত যিনি স্থাপন  করলেন ।

সেই মানুষটির নাম এরশাদ আলী মোড়ল।

এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৪