সমরেশ রায়, কলকাতা প্রতিনিধি:
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ এবং নিউমার্কেট থানার উদ্যোগে, আজ সারা কলকাতায় চলছে হকার উচ্ছেদের কাজ। তেমনি বিকেল পাঁচটায় কলকাতা কর্পোরেশনের পাশে রক্সি সিনেমার ফুট পাট থেকে হকার উচ্ছেদ অভিযান এবং থানার তরফ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছেন, এই ফুটপাতে আর বসা যাবে না, যতক্ষণ না আমাদের কাছে অর্ডার আসে।
শুধু তাই নয় হকারদের সমস্ত মালপত্র থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এবং এই ফুটপাতে যে সকল জামা কাপড়ের দোকান ছিল শুধু সেগুলোই শুধু না , যে সকল খাবারের দোকান, ফুচকার দোকান ও পান বিড়ি সিগারেট ও জলের দোকান ছিল সেগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হল, সমস্ত তুলেনিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং খাবারের দোকান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার পর্যন্ত থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালকে থেকে আর বসা যাবে না।
ফুটপাতের এক দোকানদার, মোহাম্মদ আলম জানান, আমি ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমার কাছে সমস্ত কাগজ রয়েছে। এইরকম কোন দিন হয়নি, আমাদেরকে এর আগে কর্পোরেশনের তরফ থেকে একটি করে হলুদ দাগ দেওয়া হয়েছিল মেপে, আমরা তার মধ্যেই ব্যবসা করছিলাম, আমি বাড়িতে খেতে গিয়েছিলাম ,আমাদেরকে কোন নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এই ধরনের উচ্ছেদ করলো, এই লাইনের মধ্যে ৩৫ টি দোকান ছিল, সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার অর্ডার দিয়ে গেলেন, কিন্তু দোকানদার জানালেন ,এই দোকানের উপরে প্রায় 500 র বেশি ফ্যামিলি জীবন যাপন করে, যদি আমাদের বসতেত না দেয়া হয়, আমাদের ফ্যামিলি কিভাবে চলবে, তবে আজ আমরা কিছু বলবো না, আগামী কাল আমরা এই নিয়ে যাব বলতে, শুধু দোকানের মাল নিয়ে যাননি, সঙ্গে প্রত্যেক দোকানে কর্মচারী এবং মালিক কে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে থানায়।
নিউ মার্কেট থানার ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে জানালেন, এই ফুটপাতের দোকানদাররা ইউনিয়নের সাথে যুক্ত এবং এই ইউনিয়ন টি চালায় মদন মিত্র মহাশয়, যিনি এই ইউনিয়ন এর প্রেসিডেন্ট, আমরা কালকে আলোচনায় বসবো। এবং করপোরেশনে গিয়ে কথা বলব। দোকানদার দের যে সকল মাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেগুলি আপাতত লিস্ট করে রাখা থাকবে ,অর্ডার আসলে দেওয়া হবে বলে জানালেন, তবে রক্সি সিনেমার সামনের ফুটপাত সম্পূর্ণ ফাকা থাকবে।
এই বিষয়ে নিউমার্কেট থানার সার্জেন্ট সৌরভ চক্রবর্তী কোনোরকম কিছু বলতে চাননি, তবে কোনরকম উশৃংখল বা ঝামেলার সৃষ্টি হয়নি। তবে আপাতত ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত ।