চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
চাঁদাবাজীর মোল হোতা কুমিল্লার, মোঃ আলী ও বাগেরহাটের সাইফুল । নগরীর ইপিজেড দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ৩৮নং ওয়ার্ডের ইপিজেড গেইট সংলগ্ন কলসী দিঘীর ফ্রি পোর্ট মুখ শুরু রাস্তা/ রোডের ডান পার্শ্ব দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত টমটম এই সব অবৈধ /টম টম/সিএনজি/ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। সরু এ রাস্তাটি এখন বোজা হয়ে দাড়িয়েছে। কলসি দিঘি রোডের জন্য।
পারমিট না থাকা অবৈধ এই গাড়ী গুুুলোর আনুমানিক সংখ্যা সিএনজি /২০/থেকে ২৫ টি এবং টমটম ৫৫/৬০ টি এই অবৈধ সিএনজি গুলো পরিচালিত হয় ভিবিন্ন সাংবাদিক ও পুলিশ এর নামে অনুমোদন না থাকলে ও পুলিশ সাংবাদিক মিলে অবৈধ গাড়ি বা সিএনজি গুলো পরিচালনা করে মোঃ আলী,, সাধারণ মানুষের মুখে একটাই কথা কে এই মোঃ আলী?? এর দিকে আসা রাস্তাটির মুখে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও / সিএনজি / টম টম সকাল বিকাল চলছে আবাদে, যেন দেখার কেউ নেই,, অবৈধ গাড়ি গুলোর চালক বলেন বলেন, আমাদের কাছ থেকে নেওয়া চাঁদা দিয়ে টাকার চশমা পড়ে অন্ধের ভুমিকা পালন করেছে প্রশাসন, অবৈধ গাড়ি গুলোর চালক গন আরও বলেন যদি একবারে গাড়ি গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে আর ভালো, তাদের মধ্যে কয়েক জন ড্রাইভার এর কাছে জানতে চাইলে দৈনিক কত টাকা দিতে হয়, তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেন, চাঁদা সহ লাইন ম্যান সহ ১৫০/১৮০ টাকা আবার মাসিক ১ হাজার টাকা দিতে হয়, সিএনজি ও/ টম টম চলাচলে বৈধতা ট্রাফিক পুলিশ দিলেও এর খেসারত গুনতে হয় ।
সাধারণ পথচারীদের সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর ফ্রি পোর্ট মোড়ের পার্শ্বে কলসী দিঘীর সরু রাস্তাটির এক পাশে দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড সেখানে সারিবদ্ধভাবে যাত্রীদের জন্য দাড়িয়ে থাকে বৈধতা হারিয়ে ফেলা সিএনজি /অটোটেম্পু/ টম টম। তবে সেখানে কিছুসি এনজি , টম টম, চলাচল যাতে নির্ভিগ্নে হয় চলতে পারে সেজন্য স্ট্যান্ডে লাঠি হাতে নিয়ে ডিউটি করতে দেখা যায় ৩/৪ জন লাইনম্যানকে। আর এই লাইনম্যানদের কাজ হলো সিএনজি / টম টম থেকে প্রতিদিনের চাঁদার টাকা কালেকশন করা এবং চালকদের ট্রাফিক পুলিশি ঝামেলা থেকে মুক্তি দেওয়া। মূলত ইপিজেড কর্মরত শ্রমিকদের টার্গেট করে ।
সেখানে গড়ে উঠেছে এ অবৈধ স্ট্যান্ড কেননা প্রতিদিন এই রাস্তাটি ব্যবহার করে ইপিজেডে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক। ফলে গার্মেন্টস ছুটি হলেই এই সড়কটি পরিণত হয় নরকে। শুধুমাত্র ই ইপিজেড মোড় থেকে কলসী দিঘীর রাস্তাটিতে প্রবেশ করতে যানজটের সময় ব্যয় হয় প্রায় ১ ঘন্টা যার ফলে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এই এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দাদের। সাইফুল ইসলাম নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন ইপিজেড পাশে হওয়াতে শ্রমিকরা যাতায়াতের সুবিধার জন্য কলসী দিঘীর পাড়ের আশে পাশে গড়ে ওঠা ভাড়া বাসাগুলোতেই থাকেন। যার ফলে এই এলাকায় বসবাসরত বেশির ভাগই শ্রমিক। এক সময় এই সড়কটিতে শুধু রিক্সা চলত। তখন রাস্তায় এমন যানযট ছিল না। কিন্তু এখন মানুষের তুলনায় গাড়ীর সংখ্যা বেশী। গাড়ীর জন্য এই রাস্তায় এমন যানজট ছিল না। কিন্তু এখন মানুষের তুলনায় গাড়ীর সংখ্যা বেশী।
গাড়ীর জন্য এ রাস্তায় এখন চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আগে রিক্সায় করে পকেট গেইটের মুখে যাওয়া যেত, আর এখন পায়ে হেটে যেতে হয়। কেননা রাস্তাটিতে গাড়ীর পরিমান এতো বেশী বেড়েছে যে, গাড়ীই জ্যামে পড়ে থাকে। প্রতিদিন অতিরিক্ত গাড়ীর জন্য সৃষ্টি হয় । এ যানজটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের একজন নাম প্রকাশে তিনি নিজে ও একজন ড্রাইভার।
অনিচ্ছুক এক সিএনজি/ইজিবাইক/ টম টম চালক সংবাদমাধ্যমকে বলেন এ রাস্তায় চালাতে হলে।
সর্বপ্রথম লাইনে ঢুকাতে স্তানীয় চাঁদা বাজদের দিতে হয় ৫ হাজার টাকা ও প্রতিদিন ১৮০/২০০ টাকা এবং গাড়ী প্রতি মাসিক ১০০০/- টাকা করে চাঁদা দিতে হয় এবং সব মিলিয়ে ২০০/- টাকার বেশী দৈনিক চাঁদা দিতে হয়। চাঁদার টাকা না দিলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ী ধরে বক্সে নিয়ে যায় এবং টাকার বিনিময় ট্রাফিক পুলিশ গাড়ী ছেড়েও দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে সিএনজি / টম টম ড্রাইভারদের।/ টম টম / অবৈধ সিএনজি চালিত গাড়ী রয়েছে ৭০/৮০ টির বেশী তাই এজন্য রাস্তায় গাড়ী চালাতে হলে বাধ্য হয়ে চাঁদার আওতায় আসতে হয় চালকদের। চাঁদার টাকা কে নেয় জানতে চাইলে এক চালক জানায় কার্টুন ফ্যাক্টরীর সামনে দাঁড়িয়ে মোঃ আলী চাঁদার টাকা আদায় করে বলে জানান,, এ টাকার ভাগ কারা পায় জানতে চাইলে এ চালক আরো জানায় ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা পায় বলে শুনেছি। আর টাকা না পেলে কি ট্রফিক পুলিশ রেজিষ্টার ফিটনেস বিহীন টম টম/সিএনজি এসব অবৈধ গাড়ী চালাতে দিতো?
এ বিষয় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জএর নিকট জানতে চাইলে তিনি সংবাদমাধ্যম কে বলেন কেউ যদি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে অভিযোগ পেলে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়াও অবৈধ / টম টম/ সিএনজি / এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয় ইপিজেড মোড় পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক এর নিটক জানতে চাইলে তিনি জানান গাড়ী ধরে নিয়ে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আমাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কোন চক্র এটা করতে পারে। তিনি আরো জানায় রোড়ে চাঁদাবাজি করা মানেই ঞাইম করা। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় কোন সংঘটন অভিযোগ করেন তাহলে আমি নিজে ওসি সাহেবকে বলে দিব।
গোপন সুএে জানা যায় ই পি জেড ট্রাফিক পুলিশ মাসিক মাসোয়ারা পেয়ে থাকেন।তদন্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে আশে তলের বিড়াল, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন টমটম ড্রাইভার জানান শুধু মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে দিতে হয় মাসিক মাসোহারা এতেই শেষ না এলাকাটা দুই থানার মধ্যে হওয়ায় ইপিজেড থানাকে দিতে হয় মাসোহারা এমন কি মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাশিয়ার কে দিতে হয় মাসোহারা না হলে ক্যাশিয়ার যে কোন অজুহাত দেখিয়ে গাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে আটক করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবার ছাড়ে। মধ্যেম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির, দায়িত্ব পালন করেন, বাগেরহাটের, সাইফুল, একজন ড্রাইভার বলেন, সাইফুল, নিজে গাড়ি ধরে আবার সে নিজে গাড়ি ছাড়ার ব্যাবস্তা করেন টাকার বিনিময়ে।
এবিষয়ে আগ্রাবাদ জোনের ট্রাফিক অফিসে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা টিআই এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অটোটেম্পু শ্রমিকদের ১৪৪১ নং সংগঠনের সভাপতি হাজী মোঃ কামাল উদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব অবৈধ গাড়ির ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা বলতে ও চাইনা শুধু আামাদের সংগঠন এর বা ১৪৪১ এর কোন গাড়ি অবৈধ আছে কিনা দেখেন,
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানায় ১৩৯টি সংগঠন রয়েছে কে বৈধ কে অবৈধ সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের না, প্রশাসনের উনারা দেখবেন, ।কোথায় কি করে তা আমার জানা সম্ভব না। তিনি আরও বলেন আমাদের ১৪৪১ সরকারি নিবন্ধন কৃত রেজিষ্ট্রেশন পাওয়া গাড়ি, অবৈধ সিএনজি ও টমটম এর বিষয়ে আমাদের জানার কথা না আমরা জানি ও না এসব চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে স্তানীয় ওয়াড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে দমন করা আমাদের কাজ না এগুলো প্রশাসনের দেখা শুনা জানার কথা আমাদের না।গত ১১/০২/২০২০ ইং চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার যাএী ও পন্য পরিবহন কমিটির সভার কার্যবিবরণী প্রেরণ। উক্ত সভায় টম টম/সিএনজি /অটোরিকশা /গাড়ি গুলোকে অবৈধ ঘোষণা ও এইচ পাওয়ার গাড়ী গুলোকে কলসি দিঘী রোড সহ বিবিন্ন সড়কে চালানোর অনুমিত দেন। ডিসি ট্রাফিক – উওর সিএমপি এবং মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ,,, উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার, বিআর টিএ চট্রগ্রাম বিভাগ ও সদস্য – সচিব চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার যাএী ও পন্য পরিবহন কমটি। স্মারক নং-৩৫.০৩.০০০২.০০১.৩১.০৭২.১৩-৭৭।